​অ্যাজমা বা হাঁপানি (শ্বাসকষ্ট) কি, কেন হয়, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা

অ্যাজমা বা হাঁপানি কি?

অ্যাজমা বা হাঁপানি হলো শ্বাসনালির প্রদাহজনিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ। এই প্রদাহের ফলে শ্বাসনালি ফুলে যায় এবং অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়ে পড়ে। এতে হাঁপানির বিভিন্ন উপসর্গ, যেমন—কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ লাগা এবং শোঁ শোঁ আওয়াজ হয়। সঠিক ও নিয়মিত চিকিৎসার ফলে এ উপসর্গগুলোর সবই নিয়ন্ত্রণ করা যায়। হাঁপানির চিকিৎসায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহূত হয়, যেমন—রোগ উপশমকারী ওষুধ, রোগ প্রতিরোধ বা বাধাদানকারী ওষুধ। এ ওষুধগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে—কীভাবে কাজ করে, এগুলোর সঠিক মাত্রা কী, এগুলোর সাধারণত কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং কোন কোন ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।

হাঁপানি কেন হয়

হাঁপানি যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে এটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে নয়। প্রদাহজনিত কারণে শ্বাসনালির সংবেদনশীলতা বেড়ে যায়। ফলে ঘন ঘন কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, আওয়াজ, বুকে চাপ বা দম নিতে কষ্ট হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যদি সঠিকভাবে উপযুক্ত চিকিৎসা না নেওয়া হয়, তাহলে এ রোগে অনেক সময় মৃত্যুও হতে পারে। হাঁপানির সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। এ রোগের জন্য কোনো কিছুকে এককভাবে দায়ী করা যায় না। গবেষণায় দেখা গেছে, কারও কারও বংশগত কারণে বা পরিবেশগত কারণেও এ রোগ হতে পারে। কারও নিকটাত্মীয় যদি এতে আক্রান্ত থাকে বা কেউ যদি বিভিন্ন দ্রব্যের প্রতি অতিমাত্রায় অ্যালার্জিক হয়, তাহলে তার হাঁপানি হতে পারে। এ ছাড়া শ্বাসনালি যদি অতিমাত্রায় সংবেদনশীল হয়, তাহলে এ রোগ হতে পারে।

এ ছাড়া ধুলোবালির মধ্যে থাকা মাইট নামের ক্ষুদ্র কীট, ফুলের পরাগরেণু থেকে; পশুপাখির পালক, ছত্রাক, মল্ট, ইস্ট, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সিগারেটের ধোঁয়ার মধ্যে যারা থাকে তাদের এ রোগ হতে পারে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ধূমপান শুধু শ্বাসকষ্টের কারণই নয়, বরং অনেক ক্ষেত্রেই এটা হাঁপানির তীব্রতা বাড়িয়ে দেয়। হাঁপানির ওষুধের কার্যকরতা কমিয়ে দেয়, কখনো কখনো ফুসফুসের দীর্ঘস্থায়ী কার্যক্ষমতাও কমে যায়।

কখনো কখনো ব্যক্তির পেশাগত কারণেও এ রোগটি হতে পারে। কিছু উত্তেজক উপাদান অনেক সময় সংবেদনশীল রোগীর শ্বাসকষ্ট শুরু করতে পারে—যেমন শ্বাসনালির সংক্রমণ, অ্যালার্জি-জাতীয় বস্তুর সংস্পর্শ, বায়ুদূষণ, সিগারেটের ধোঁয়ার কারণেও এটি হতে পারে। কোনো কোনো ওষুধ, যেমন বিটা ব্লকার, যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহূত হয়, এনএসএআইডি (ব্যথা নিরাময়কারী ওষুধ) এসপিরিন কোনো কোনো ক্ষেত্রে হাঁপানির কারণ হতে পারে। এ ছাড়া মানসিক চাপে থাকলে হাঁপানির তীব্রতা বেড়ে যেতে পারে। কোনো কোনো খাবারের প্রতি সংবেদনশীল বা চিংড়ি মাছ, হাঁসের ডিম, গরুর মাংস, বেগুন, পুঁইশাক, মিষ্টিকুমড়া, ইলিশ মাছ প্রভৃতি খেলে চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে কারও কারও—অর্থাৎ অ্যালার্জি হয়। তবে খাবারের মাধ্যমে যে অ্যালার্জি হয় তাতে খুব কম লোকের অ্যালার্জি বা শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। কারও কারও বিভিন্ন সুগন্ধি, মশার কয়েল বা কারও কারও কীটনাশকের গন্ধ থেকেও শ্বাসকষ্ট বেড়ে যেতে পারে।

রোগ নির্ণয়

হাঁপানি নির্ণয়ের প্রথম ধাপ হচ্ছে রোগীর মুখে রোগের বিস্তারিত ইতিহাস জানা। হাঁপানির প্রধান উপসর্গগুলো হলো শ্বাসকষ্ট, কাশি, বুকের মধ্যে শোঁ শোঁ শব্দ হওয়া, বুকে চাপ অনুভব করা বা অল্পতেই দম ফুরিয়ে যাওয়া। তবে কখনো কখনো দুবার অ্যাটাকের মধ্যে রোগীর হাঁপানির কোনো উপসর্গ নাও থাকতে পারে। অল্প যেকোনো একটি বা এরও বেশি উপসর্গ থাকতে পারে।

সাধারণত এ উপসর্গগুলো রাতে বা খুব সকালে বেশি হয় এবং শ্বাসনালিতে কোনো ধরনের অ্যালজেন প্রবাহ প্রবেশ করলে বা অল্প মাত্রায় পরিবর্তিত হলে এ উপসর্গের তীব্রতা বেড়ে যায়। কারও কারও ক্ষেত্রে কাশি বা শ্বাসকষ্ট শুরুর আগে নাক চুলকায়, হাঁচি হয়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, চোখ লাল হয়ে যায়। ওপরের উপসর্গগুলোর সঙ্গে বংশে কারও যদি হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার ইতিহাস থাকে, তাহলে ধরে নেওয়া যায় তার হাঁপানি রয়েছে।

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়

গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অ্যাগেইনস্ট অ্যাজমা—সংক্ষেপে জিআইএনএ একটি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংগঠন, যারা অ্যাজমা নিয়ে কাজ করে থাকে। তাদের উদ্যোগে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় ২০০৩ সাল থেকে সাধারণ মানুষ ও অ্যাজমা রোগীদের মধ্যে এ রোগটি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর মে মাসের প্রথম মঙ্গলবার বিশ্ব অ্যাজমা দিবস পালন করা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো আমাদের দেশে যেসব সংগঠন অ্যাজমা রোগীদের নিয়ে কাজ করে, যেমন—বাংলাদেশ লাং ফাউন্ডেশন, অ্যাজমা অ্যাসোসিয়েশন, ক্লাব একসেন এ দিনটি বিশেষ মর্যাদায় পালন করে থাকে। এদিন অ্যাজমা সম্পর্কে মানুষকে সচেতনতার লক্ষ্যে শোভাযাত্রা, পোস্টার প্রদর্শন, সেমিনার, অ্যাজমা রোগীদের সঙ্গে মতবিনিময়, অ্যাজমা রোগের সঠিক চিকিৎসা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন এবং অ্যাজমা রোগ প্রতিরোধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনার আয়োজন করা হয়। এবার বিশ্ব হাঁপানি দিবসের স্লোগান হলো—‘নিজের হাঁপানি নিজেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন’। অর্থাৎ একজন রোগীর পক্ষে তার হাঁপানির উপসর্গগুলো সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আর এটি তখনই সম্ভব, যখন একজন রোগীর তার রোগ, ওষুধ, উত্তেজক, ওষুধ ব্যবহারের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং এ রোগের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকবে।

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর ভূমিকা

হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রোগীর নিজের ভূমিকা অনেক। রোগীকে জানতে হবে, তার রোগটির প্রকৃতি কী, এর চিকিৎসা কী, তিনি ইনহেলার ব্যবহার করবেন কি না, ইনহেলারের কাজ কী প্রভৃতি। গুরুত্বপূর্ণ হলো সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করতে জানা। রোগীকে জানতে হবে কী চিকিৎসা তার প্রয়োজন, তার হাঁপানির উপসর্গ কখন বাড়ে, কখন ইনহেলার ব্যবহার করবে, কখন রোগটি তার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে এবং কখন রোগী চিকিৎসকের পরামর্শ নেবে। যেহেতু হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ, তাই এ রোগের ওষুধগুলো দীর্ঘমেয়াদি অবিরামভাবে ব্যবহার করতে হয়। কখনোই উপসর্গ কমে গেলে বা না থাকলে ওষুধ হঠাৎ বন্ধ করা কোনোভাবেই উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, অ্যাজমায় চিকিৎসা কদাচিৎই স্বল্পমেয়াদি হয়। এর মানে এও নয় যে একজন হাঁপানি রোগী সারা জীবনই এর জন্য ওষুধ নেবে। গবেষণায় দেখা গেছে, একজন অ্যাজমা রোগী যদি নিয়মিতভাবে হাঁপানি প্রতিরোধক ওষুধ নিয়মিত তিন থেকে পাঁচ বছর ব্যবহার করে, তাহলে ৮০ শতাংশ ক্ষেত্রে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ওষুধের মাত্রা সাধারণত উপসর্গের তীব্রতা অনুযায়ী নির্ণয় হয়ে থাকে, অর্থাৎ রোগের উপসর্গ কমে গেলে ধীরে ধীরে ওষুধের পরিমাণ কমিয়ে আনতে হয়। কখনোই হঠাৎ করে কমানো উচিত নয়। রোগীকে জানতে হবে, কখন সে ওষুধের পরিমাণ বাড়াবে, কী কী উপসর্গ দেখলে সে তার চিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করবে। অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণের জন্য রোগীকে অবশ্যই বিভিন্ন ওষুধ দেওয়ার যন্ত্রপাতি সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। অর্থাৎ সঠিকভাবে ইনহেলার নেওয়ার পদ্ধতি জানতে হবে। সঠিকভাবে নেবুলাইজার ব্যবহার জানা দরকার। এ যন্ত্রগুলো কীভাবে কাজ করে, সেটিও জানা দরকার। নিয়মিত সঠিক ওষুধ ব্যবহার ছাড়াও হাঁপানির উত্তেজক থেকে নিজেকে রক্ষা করার জন্য কিছু সাবধানতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। রোগীকে জানতে হবে, তার জন্য নির্দিষ্ট কোনো উত্তেজক আছে কি না। এ ছাড়া সাধারণ উত্তেজককে অবশ্যই পরিহার করতে হবে, যেমন—প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ধূমপান থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা। বাসায় কার্পেট, যা রাখা বিশেষ করে শোয়ার ঘরে। বাসার মধ্যে কোনো পোষা জীব, যেমন—কুকুর, বিড়াল, পাখি না রাখা। বাসায় কোনো কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার না করা, কখনোই ভেকুয়াম ক্লিনার ব্যবহার না করা। দেখা গেছে, অ্যাজমা সম্পর্কে সঠিক শিক্ষা পাওয়ার পর ৭৫ শতাংশ রোগীই হঠাৎ অ্যাজমার আক্রমণ থেকে বেঁচে যায় এবং ৮০ ভাগ ক্ষেত্রেই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না।

চিকিৎসা

হাঁপানি সম্পূর্ণ ভালো করার জন্য এখনো কোনো ওষুধ বের হয়নি। তবে সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। হাঁপানি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রোগী পুরো সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত হাঁপানি হার্ট অ্যাটাকের মতোই ভয়াবহ। এতে মৃত্যুও হতে পারে। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণের একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো সতর্কভাবে খেয়াল রাখা, কোন কোন উপসর্গে রোগীর শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তা নির্ণয় করা এবং তা থেকে দূরে থাকা। কারণ সব হাঁপানি রোগীর রোগের উপসর্গ কমা বা বাড়ার জন্য একই উত্তেজক দায়ী নয়। অনেক সময় পারিপার্শ্বিক অবস্থার ওপরও আমাদের কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। হাঁপানির ওষুধ সঠিকভাবে ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক জীবন যাপন সম্ভব।
মো. দেলোয়ার হোসেন, মেডিসিন ও বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ ও বারডেম হাসপাতাল, ঢাকা

TOP HOSPITALS IN Kalkata, India.

Top 7 hospitals in Kolkata:

  1.     Fortis Hospital
  2.     Apollo Gleneagles Hospital
  3.     Ruby General Hospital
  4.     AMRI (Advanced Medicare and Research Institute)
  5.     CMRI (Calcutta Medical Research Institute)
  6.     Columbia Asia
  7.     Fortis Hospital and Kidney Institute, Kolkata.

Fortis Hospital

Providing efficient health care services in a time effective manner. Possessing an excellent team of health care professional along with an impressive infrastructure fitted with most accurate medical equipment, Fortis is certainly the most desired medical destinations for Kolkatans.

Salient Features:

  •     NABH accredited and governed by IBMS
  •     Accommodates more than 400 beds
  •     A high class infrastructure that provides both horizontal and vertical transportation facilities for patients, their family and staff
  •     24 hour availability of accident and emergency care units, pharmacy and ambulance
  •     Also provides blood bank, diagnostic and catherization facilities
  •     Well equipped ICUs, MICUs, CCUs, isolation rooms and recovery units
  •     The hospital has around 28 dialysis unit
  •     A superspeciality hospital that also focuses on rehabilitation, diet counseling and physiotherapy; along with, all other medical branches 

Esteemed Panel of Doctors:

  •     Dr. Indrani Bhattacharjee (Pediatrician)
  •     Dr. Abhrajit Roy (Rheumatologist)
  •     Dr. Amal Kumar Banerjee (Cardiologist)
  •     Dr . Himadri Roy Chowdhury (Dentist and Maxillofacial Surgeon)
  •     Dr. Jayanta Kumar Saha (Plastic and Reconstructive Surgeon)
  •     Dr. Joydeep Ghosh (Internal Medicine)
  •     Dr. Kalyan Kumar Gangopadhyay (Diabetologist and endocrinologist)
  •     Dr. Kumar G.R Vijay (Neurosurgeon)
  •     Dr. Madhumita Bhattacharya (Dermatologist)
  •     Dr. Prathama Chaudhuri (Haematologist) 

Address:

730, Anandapur, E.M Bypass Road,

Kolkata , West Bengal – 700107

Apollo Gleneagles Hospital, Kolkata

Apollo Gleneagles Hospital has been nourishing the lives of many since its inception. It is a multi-specialty medical center that offers best in class health-care assistance using benched mark standards in diagnostic, medical, surgical and therapeutic fields. This hospital is infrastructured with technological systems to render quality medical facilities to its patients.
Salient Features

  •     510 hospital beds
  •     Only JCI accredited center in Kolkata
  •     ISO 22000:2005 – HACCP certified hospital
  •     Environment management certified under ISO 14001:2005 standards
  •     Energy management certified under ISO 50001:2011 standards
  •     NABL certified laboratories
  •     Pharmacy unit functional 24/7
  •     24/7 service provisions offered by the radiology and laboratories departments
  •     Uses da Vinci Robotic system for advanced level of surgeries with three dimensional imaging facilities
  •     1:1 patient to nurse ratio offered round the cloud by the cardiac critical care unit (CCU) 

Esteemed Panel of Doctors:

  •     Dr. Amar Nath Ghosh – Cardiac Surgeon
  •     Dr. Debasis Ghosh – Consultant Cardiologist
  •     Dr. P. C. Mondal – Consultant Cardiologist
  •     Dr. Sushan Mukhopadhyay – Cardiac Surgeon
  •     Dr. Tanmoy Mukhopadhyay – Clinical Oncologist
  •     Dr. P. N. Mohapatra – Medical Oncologist
  •     Dr. Sudipta Kumar Mishra – Oncosurgeon
  •     Dr. Shaikat Gupta – Oncosurgeon
  •     Dr. Buddhadeb Chatterjee – Orthopedic Surgeon
  •     Dr. P. K. Banerji – Orthopedic Surgeon
  •     Dr. Abrar Ahmed – Spine Surgeon
  •     Dr. Amitabha Ghosh – Consultant Neurologist
  •     Dr. Shankar Loharuka – Consultant Neurologist
  •     Dr. B. K. Singhania – Neurosurgeon
  •     Dr. Mahesh Kr. Goenka – Clinical Gastroenterologist
  •     Dr. Ajay Kr. Arya – ENT Consultant
  •     Dr. Archana Ranade – ENT Surgeon
  •     Dr. Debashish Roy – General Surgeon
  •     Dr. Syamal Kr. Sarkar – General Surgeon
  •     Dr. V. V. Lakshminarayanan – Nephrologist
  •     Dr. Bhaskar Pal – Obstetrician & Gynecologist
  •     Dr. Bikas Bhattacharya – Eye Surgeon
  •     Dr. Mohan Chand Seal – Uro Surgeon
  •     Dr. Vinay Mahendra – Uro Surgeon
  •     Dr. Asok Sengupta – Clinical Pulmonologist
  •     Dr. Kaushik Nandy – Plastic Surgeon
  •     Dr. Jay Ranjan Ram – Psychiatrist 

Address:

Apollo Gleneagles Hospital

58, Canal Circular Road,

Kadapara, Kolkata – 700054

Ruby General Hospital

Ruby General Hospital was honored as the First Eastern India hospital to have conducted its first 400 bypass surgeries with 100% accuracy. The hospital with its unmatched team of medical experts, latest generation equipment and an exclusive yet affordable infrastructure; stands as one of the trusted health care destinations and one of the top hospitals in Kolkata.

Salient Features:

  •     Around 42 multi specialty departments
  •     5 General OT and 1 CTVS OT
  •     First Eastern India hospital to be certified by ISO 9001:2008
  •     With 50 in house and 175 senior consultants, the hospital promises to serve 24/7 across all its departments
  •     24 hour accessibility of different departments, operation theater consultants, ambulance, diagnostic and pharmacy facilities
  •     Excellent outpatient care, accounting for around 150 -200 patients each day
  •     Handles the highest number of Trauma Cases, with special mention to road accidents in Kolkata
  •     Free home delivery of medicines for senior citizens and neighbors 

Esteemed Panel of Doctors:

  •     Dr. Ranjan Kumar Sharma (Cardiologist)
  •     Dr. Soumyabrata Roychoudhury (Cardiologist)
  •     Dr. Himangshu K. Dashmahaptra (Cardiac Surgeon)
  •     Dr. Rajarshi Banerjee (Dental Care)
  •     Dr. Sudipto Pal (Orthodontics)
  •     Dr. Sujoy Majumdar (Endocrinologist)
  •     Dr. Amit Gupta (Diabetologist)
  •     Dr. Aneek Bhattacharya ( ENT )
  •     Dr. A. K Pal (Gastroenterologist)
  •     Dr. Abhinibesh Chatterjee (Gynaecologist)
  •     Dr. Kajori Mukherjee (Gynaecologist)
  •     Dr. Subhabrata Ghose (Gynac and Obst.)
  •     Dr. Dhiraj Choudhury ( General Surgeon)
  •     Dr. Prantar Chakraborty (Haemotologist )
  •     Dr. Monimoy Ghosh ( Medicine)
  •     Dr. Amitabha Saha ( ICU Incharge) 

Address:

Kasba Golpark EM Bypass,

Kolkata West Bengal 700107

Land Mark – Near Canara Bank

AMRI (Advanced Medicare and Research Institute)

Spread across multiple locations in Kolkata, and aiming at delivering superlative health care to both the elite and less affluent classes, AMRI stands as one of the premiere institutes in state. With a huge team of accomplished medical practitioners and latest generation medical equipment, the hospital is definitely the first choice for inhabitants of Kolkata.

Salient Features:

  •     Accommodates 1000 beds, 500 doctors who successfully perform more than 10,000 surgeries annually
  •     Most well equipped destination for geriatric care in Eastern India
  •     First to perform successful Bariatric surgery and use of CO2 laser treatment in Eastern India.
  •     Recently, AMRI has also introduced hi tech opthalmic care department; along with its existing areas of excellence
  •     Best known for advanced Cancer treatments, cardiac care and neurosciences
  •     Free and Partially free treatment for under privileged. This includes treatment procedures, surgeries and diagnostic tests.
  •     Runs a special welfare cell that arranges donations and sanctions for the less privileged 

Esteemed Panel of Doctors:

  •     Dr. Sugato Paul (Opthalmology)
  •     Dr. Kaushik Mukherjee (Cardiothoracic Surgeon)
  •     Dr. Bimla Goenka (Gynaecology and Obstetrics)
  •     Dr. Saurabh Ghosh (Onco Surgeon)
  •     Dr. Sabyasachi Bose (Urologist)
  •     Dr. Gautam Mukherjee (Endocrinologist and Diabetologist)
  •     Dr. P.K Pooviah (Geriatric Medicine)
  •     Dr. Srinjoy Saha (Plastic Surgeon)
  •     Dr. Subhasis Chatterjee (General Medicine) 


Address:

AMRI Mukundapur

230 Barakhola Lane, Purba Jadavpur,

Kolkata – 700099
AMRI Dhakuria-

P – 4&5 Gariahat Road Block -A, Scheme L11,

Dhakuria Kolkata – 700042
AMRI Saltlake-

JC – 16 & 17, Salt lake City, Block A,

Salt lake City, Kolkata – 700098
AMRI Southern Avenue-

97 A Southern Avenue,

Opposite Lake Stadium, Kolkata – 700029

CMRI (Calcutta Medical Research Institute) Hospital

Focused at delivering quality medical care, CMRI is definitely a trusted name in health care for the people. Apart from delivering phenomenal care to the inhabitants of Kolkata, CMRI also appeases to the health needs of people from our neighboring countries; such as Nepal, Bangladesh and Bhutan.

Salient Features:

  •     Around 210 renowned medical consultants with national and international acknowledgement
  •     Multiple specialties accommodating 440 beds
  •     106 beds dedicated to critical care unit
  •     Twelve Operating Theaters equipped with latest medical equipment
  •     24/7 emergency services and life saver ambulance
  •     Laboratories accredited by NABL and CAP
  •     Runs a pharmacy as well as blood bank 

Esteemed Panel of Doctors:

  •     Dr. Ajay Mandal (GI Surgeon)
  •     Dr. Abhijeet Chatterjee (NeuroSurgeon)
  •     Dr. R. Tandon (Plastic Surgeon)
  •     Dr. Anjan Kr. Das (Renal Department)
  •     Dr. Gaurav Gupta (Orthopedics and Joint Replacement)
  •     Dr. Illorashiri Chakraborty (Gynaecologist)
  •     Dr. Vipin Patel (Orthodontics)
  •     Dr. Bhaskar Roy Chowdhury (Opthalmologist)
  •     Dr. Vishnu Kumar Bhartia (Obesity and Bariatric Surgeon)
  •     Dr. Sandipan Mukherjee (Radiologist)
  •     Dr. Sumit Chaudhury (General Surgeon)
  •     Dr. Bishwarup Lahiri (Internal Medicine) 

Address:

No 7/2, Diamond Harbor Road,

Kolkata, West Bengal – 700027

Columbia Asia

Known for its exemplary services in health care, Columbia Asia has earned the title of being one of the best hospitals in Kolkata in a very short span of time. It has become one of the most preferred destinations for any form of medical assistance in Kolkata. A platform where you meet highly efficient staff, catering to any and every health care need. In addition, it can also boast of a hi- tech and equipped infrastructure apart from the clinical excellence.

Salient Features:

  •     Already accommodating 100 beds and aims at adding more
  •     Telemedicine and teleradiology facilities, thus connecting to remote areas
  •     24 hour facilities of pharmacy, ambulance, laboratories, OT and delivery rooms
  •     Provides comprehensive health check ups for different age groups along with cancer screening and hypertension screening
  •     Infrastructure that meets international standards
  •     Provides day care surgery facilities 

Esteemed Panel of Doctors:

  •     Dr. Anindya Chattopadhya (Pediatric Surgeon)
  •     Dr. Amit Kumar Agarwal (Urologist)
  •     Dr. Annirudha Dasgupta (General Surgery)
  •     Dr. Ashish Kumar Ghosh (Gynaecologist and Obstetrician)
  •     Dr. Barnali Ghosh (Psychotherapist)
  •     Dr. Basab Raj Ghosh (Oncologist)
  •     Dr. Debabrata Bose (General and Laproscopic Surgeon)
  •     Dr. Debashih Roy (Internal Medicine)
  •     Dr. Dhrubajyoti Roy (Pulmonologist)
  •     Dr. Jayanta Dutta (Nephrologist) 

Address:

IB – 193, Sector III,

Salk Lake City, Kolkata, West Bengal – 700091

Fortis Hospital and Kidney Institute, Kolkata

Spread across 22337 sq. ft area, Fortis Hospital and Kidney Institute, Kolkata is one of the prime institutions in the country. This multi-specialty healthcare organization is full scaled with technological innovations to serve best medical services to its beneficiaries. It is one of the finest locations that offers A-Z solutions for all types of Urology and Nephrology disorders along with other medical domains.

Salient Features:

  •     60 hospital beds
  •     4 full fledged operating rooms
  •     Dialysis unit with 12 beds
  •     Dialysis unit functional round the clock
  •     Clinical and surgical renal science departments operational round the clock
  •     Utilizes shock wave lithotripter with 4th generation technologies
  •     Ambulance service provision 24/7
  •     Separate laboratory and pathology units within the same campus 

Esteemed Panel of Doctors:

  •     Dr. Abhijit Bhatta – General Physician
  •     Dr. Anjan Das – Consultant Urologist
  •     Dr. Apurba Siva – Consultant Gastroenterologist
  •     Dr. Arup Ratan Dutta – Consultant Nephrologist
  •     Dr. Ayush Choudhary – Consultant Urologist
  •     Dr. Biswajit Mandal – Dentist & Maxillo Facial Surgeon
  •     Dr. Debasis Datta – Consultant Gastroenterologist & Hepatologist
  •     Dr. Prithwiraj Ghoshal – Uro Surgeon
  •     Dr. Pushkar Shyam Chowdhury – Uro Surgeon
  •     Dr. Rachna Majumder – Consultant Diabetologist & Endocrinologist
  •     Dr. Raj Kalyan Gopala Krishna – Consultant Urologist
  •     Dr. Rajiv Sinha – Nephrology Surgeon
  •     Dr. Ramesh Agarwalla – Laparoscopic GI and HPB Surgeon
  •     Dr. Sasanka Sekhar Saha – General & Organ Transplant Surgeon
  •     Dr. Shivaji Basu – Uro Surgeon
  •     Dr. Shrinivas Narayan – Uro Surgeon
  •     Dr. Subrata Haldar – Consultant Orthopedist
  •     Dr. Suchandro Das – Consultant Nephrologist
  •     Dr. Upal Sengupta – Consultant Nephrologist 

Address:

Fortis Hospital & Kidney Institute

111A, Rash Behari Avenue,

Gariahat, Kolkata – 700029

​ভারতের ভিসা প্রাপ্তি

আমাদের সুবিশাল প্রতিবেশী দেশ ভারতে বিভিন্ন কারণেই আপনাকে যেতে হতে পারে। চিকিৎসা, ব্যবসা, পড়াশোনা, চাকুরী ইত্যাদি অতীব প্রয়োজনীয় কারণের পাশাপাশি পর্যটনও একটা বড় কারণ, যে জন্যে আজকাল অনেক বাংলাদেশীর কাছেই ভারতগমন বা ভারতভ্রমণ একটি সাধারন বিষয়। কিন্তু এই অতি সাধারণ বিষয়ের মাঝে মূলত জানার অভাবের কারণে অনেকের কাছেই ভারতের ভিসা পাওয়া একটি ‘অ-সাধারন’ এবং জটিল বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। উপরন্তু নানা জনের নানা মতামত, দালাল শ্রেণীর অত্যাচার অথবা শুধুমাত্র নিজের অজ্ঞতাও অনেক সময় ভারতের ভিসা পাওয়ার বিষয়টিকে চরম বিভ্রান্তিকর করে তোলে, আর সাধারণ মানুষ হয় বিড়ম্বনার শিকার। তাই আসুন জেনে নেয়া যাক কীভাবে অতি সহজ উপায়ে আপনি নিজেই পারেন নিজের জন্য ভারতীয় ভিসা যোগাড় করতে।

ভিসার ধরণঃ

ভারতীয় দূতাবাস আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী যেসকল ধরণের ভিসা দেয় সেগুলো হলঃ

  •     বিজনেস ভিসা
  •     কনফারেন্স ভিসা
  •     কূটনৈতিক ভিসা
  •     চাকুরী ভিসা
  •     এন্ট্রি ভিসা
  •     চিকিৎসা ভিসা
  •     জরুরী ভিসা
  •     সাংবাদিক ভিসা
  •     মিশনারিস ভিসা
  •     ২ মাসের মধ্যে পুনরায় প্রবেশের অনুমতিজনিত ভিসা
  •     স্টুডেন্ট ভিসা
  •     গবেষণা ভিসা
  •     পর্যটক ভিসা
  •     ট্রাঞ্জিট ভিসা।

ভিসার ধরণ অনুযায়ী আপনাকে বিভিন্ন ধরণের প্রয়োজনীয় কাগজ দেখাতে হতে পারে। ভিসার মেয়াদও নির্ভর করে ভিসার ধরনের উপর। এর মধ্যে ট্রাঞ্জিট ভিসা হচ্ছে ভারতের মাটি দিয়ে অন্য কোন দেশে যেতে যে ভিসার লাগে। উদাহরণস্বরূপ, বাসে চড়ে বিকেলে নেপালে জলযোগ করতে চাইলে সকালে ভারতের মাটিতেই প্রাতঃরাশ সারতে হবে।
ভিসা প্রক্রিয়াঃ

প্রথম ধাপঃ অনলাইনে ভিসার এপ্লিকেশন

প্রথমেই অনলাইনে আপনাকে ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে।   indianvisaonline.gov.in/visa ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে বামপাশে অনলাইন ভিসা এপ্লিকেশন অপশনে ক্লিক করলেই সেখানে পেয়ে যাবেন অনলাইন এপ্লিকেশন লিঙ্ক। অনলাইন এপ্লিকেশন ফর্মে আপনার কিছু সাধারণ তথ্য যেমনঃ জন্মতারিখ,  আপনার পাসপোর্টের তথ্য, পেশা, কোন ধরনের ভিসা চাচ্ছেন, কেন চাচ্ছেন, ভারতে আগে গিয়েছিলেন কিনা ইত্যাদি জানতে চাওয়া হবে। এই ধাপে মনে রাখতে হবেঃ

Screenshot of the First Page of the Indian Visa Form

    চট্রগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের মানুষজন তাদের নিজ নিজ বিভাগের ভারতীয় মিশনে ভিসার জন্য আবেদন করবেন এবং অন্যান্য সকল বিভাগের মানুষজন ঢাকাস্থ ভারতীয় মিশনে আবেদন করবে। সোজা কথা, পটুয়াখালীর একজন ভারত যেতে চাইলে আবেদন করতে হবে ঢাকার ভারতীয় মিশনে, নোয়াখালীর মানুষকে আবেদন করতে হবে চট্রগ্রামের ভারতীয় মিশনে।

    টেম্পোরারি এপ্লিকেশন আইডি এবং ওয়েব রেজিস্ট্রেশন নাম্বার নামের দুটো নাম্বার দেয়া হবে। এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণের সময় সেগুলো অবশ্যই সেভ করে রাখতে হবে, এগুলো অনেক ক্ষেত্রেই দরকার হবে।

    ভুল তথ্য দেয়া হলে ভিসা নাও পেতে পারেন, যদিও “মানুষ মাত্রই ভুল-man is mortal”, তাও নির্ভুল থাকার চেষ্টা করুন।

    তবে ভুল তথ্য একবার দেয়া হয়ে গেলে ঐ এপ্লিকেশন ফর্ম বাতিল ধরে পুণরায় এপ্লিকেশন ফর্ম পূরন করতে হবে।

    ফর্মে জানতে চাওয়া হবে আপনি কিভাবে ভারতে যেতে চান, আকাশপথে গেলে এক হিসাব আর স্থলপথে গেলে অন্য হিসাব। স্থলপথে যেতে চাইলে জানতে চাওয়া হবে কোন স্থলবন্দর দিয়ে ভারত প্রবেশ এবং ভারত থেকে আবার বাংলাদেশে ফেরত আসতে চান। মনে রাখতে হবে যে বন্দর দিয়ে আপনি ভারত প্রবেশ করলেন ঠিক একই বন্দর দিয়ে আপনাকে দেশে ফিরতে হবে।

     ফর্ম পূরণের সময়ই তারা আপনার কাছে জানতে চাইবে আপনি কবে ইন্ডিয়ান ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে এসে ভিসার জন্য দেখা করতে পারবেন। তাদের প্রস্তাবিত তারিখগুলো সাধারণত ফর্ম পূরণের ৭ থেকে ১০ দিনের মত সময়ের মধ্যে হয়। চেষ্টা করুন আপনার সুবিধামত যত আগে সম্ভব সেই তারিখটি বাছাই করতে, কারণ একবার চেষ্টা করে ভিসা না পেলে আবার আপনাকে পুরো প্রক্রিয়া প্রথম থেকে শুরু করতে হবে, যাতে আপনার ভিসা প্রাপ্তি অন্তত পক্ষে ১০-২০ দিন পিছিয়ে যেতে পারে।

    কেউ যদি দেখা করার সম্ভাব্য তারিখ না পান তবে এপ্লিকেশন ফর্মে আবার গিয়ে  ডান কোণে রি-প্রিণ্ট অপশনে গিয়ে জন্ম তারিখ এবং ওয়েব রেজিস্ট্রেশন নাম্বার দিয়ে পুনরায় চেক করে নিন।

    এপ্লিকেশন ফর্ম পূরণ করা শেষে পূরণকৃত ফর্মটি প্রিন্ট করুন, প্রিন্ট করতে না পারলে রি-প্রিন্ট অপশনে গিয়ে প্রিন্ট করুন।

দ্বিতীয় ধাপঃ ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার ভ্রম

এবার এপ্লিকেশন ফর্মে উল্ল্যেখিত তারিখে ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টার দর্শন। আপনাকে নির্দিষ্ট ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে ঢুঁ মেরে আসতে হবে। তবে শুধু মুখ প্রদর্শন করে আসলেই চলবে না, পাশাপাশি কিছু প্রয়োজনীয় কাগজ প্রদর্শন এবং প্রদান, উভয়ই করতে হবে। ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারের (Indian Visa Application centre, IVAC) বাইরে ভিড় দেখে দমে যাবেন না, কারণ আপনার কাজ জলবৎ তরলং ঃ

Screenshot of http://www.ivacbd.com

Screenshot of http://www.ivacbd.com
রাজশাহী, সিলেট এবং চট্রগ্রাম বিভাগের মানুষজন তাদের নিজ নিজ বিভাগীয় শহরে অবস্থিত ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে (IVAC Rajshahi, IVAC Sylhet অথবা IVAC Chittagong) যাবেন। বাদবাকি সকল বিভাগের মানুষজনকে ঢাকাস্থ গুলশান বা মতিঝিলের ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারে (IVAC Gulshan অথবা IVAC Motijheel) উপস্থিত হতে হবে। http://www.ivacbd.com ওয়েবসাইটে পেয়ে যাবেন সবগুলো IVAC এর পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা।
    IVAC এর ত্রিসীমানার আশেপাশে গিয়ে সর্ব প্রথম কাজ, দালালদের এড়িয়ে চলুন। বাপের বেটা হয়ে নিজের এই এতটুকুন কাজ নিজেই করুন।

    পূরণকৃত এপ্লিকেশন ফর্মটি এদিন জমা দিতে হবে। আপনার এক কপি ছবি লাগবে যা আপনি ফর্মটির সাথে আঠা দিয়ে এঁটে দিবেন। উল্লেখ্য, পাসপোর্ট বা অন্য কোন আকারের ছবি চলবে না। ছবিটির আকার একটু ভিন্ন; তা অবশ্যই ২” × ২” হতে হবে।

    ফর্মের সাথে আরো লাগবেঃ আপনার পাসপোর্টের ফটোকপি এবং পাসপোর্ট, মানি এন্ডোর্সমেন্ট এর কাগজ, আপনার স্থায়ী নিবাসের কাগজপত্র, বাসার Utility Bill এর কাগজ (এটা হতে পারে আপনার বাসার টেলিফোন বিল, ইলেকট্রিসিটি বিল, গ্যাস বিল অথবা পানির বিল, যেকোনটা), আপনি যেই পেশায় আছেন তার প্রমাণ ( যেমনঃ আপনি শিক্ষার্থী হলে আপনার Student ID card এর ফটোকপি ), আপনার ভোটার আইডি বা জন্ম সনদের ফটোকপি। এছাড়া ভিসার ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যেমনঃ কনফারেন্স ভিসার জন্য কনফারেন্সে যোগদানের আমন্ত্রণ পত্র বা স্টুডেন্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র ইত্যাদি প্রয়োজন।

    ভিসা প্রসেসিং ফি বাবদ ৪০০ টাকা দিতে হবে।

    তারা আপনাকে একটি স্টিকার দিবে এবং পুনরায় দেখা করার তারিখ জানিয়ে দিবে, যেদিন আপনি এসে আপনার পাসপোর্ট ফেরত নিতে যাবেন।
এটা দীর্ঘদিনের অভিযোগ যে ভারতীয় ভিসা এপ্লিকেশন সেন্টারগুলোতে অত্যাধিক চাপ ও অন্যান্য কারণে বাংলাদেশীরা আশানুরূপ সেবা পায় না। কাজেই সেখানে গিয়ে তাদের সাহায্যের আশা না করে যাওয়ার আগেই গুছিয়ে ফেলুন সকল কাগজপত্র।  এক্ষেত্রে আরেকটি উল্ল্যেখ্য বিষয় হল, IVAC  কাগজপত্র জমা রাখা সহ আরো অনেক কাজ করলেও ভিসা দেয়ার মূল ব্যাপারটি ভারতীয় দূতাবাসের হাতে।

তৃতীয় ধাপঃ অপেক্ষা এবং ফলাফল

পাসপোর্ট IVAC এ জমা দানের পর তাদের জানানো পাসপোর্ট ফেরত নেয়ার তারিখ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে আপনার ভিসা পাওয়ার কতদূর কি হল তা আপনি ঘরে বসেই জানতে পারবেন http://www.ivacbd.com এ গিয়ে বামপাশে Track Your Visa Application এ ক্লিক করে। তাদের প্রদত্ত স্টিকার নাম্বার আর ওয়েব রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করে আপনার ভিসার কাজের অগ্রগতি জেনে নিন। Processing দেখালে বুঝবেন কাজ চলছে, Not processed দেখালে বুঝবেন তারা আপনার ভিসার কাজ শুরু করেনি, Processed দেখলে বুঝবেন আপনার ভিসা নিয়ে তারা কাজ শেষ করেছে। আপানাকে পাসপোর্ট উঠিয়ে আনার একটি তারিখ দেয়া হলেও ভিসা এপ্লিকেশন Track করে যতদিন না দেখবেন Processed লেখা হয়েছে, ততদিন IVAC এ পুনরায় যাওয়া বোকামি। গেলে তারা আপনাকে একটি কথাই বলবেঃ “পরে আসেন, এখনো আপনার ভিসার কাজ শেষ হয়নি।” তবে খেয়াল রাখতে হবে, ৩ মাস এর মধ্যে পাসপোর্ট সংগ্রহ করতে হবে। নতুবা পাসপোর্টের দায়ভার IVAC  নিবে না। সবশেষে Processed লেখা দেখে আপনি IVAC এ গিয়ে আপনার পাসপোর্ট ফিরিয়ে আনবেন, পাসপোর্টের পাতা উল্টিয়ে দেখবেন কাঙ্খিত ভারতের ভিসা পাসপোর্টে লেগেছে কিনা।

ত্বকে র‌্যাশ উঠার কারণ

চুলকানি বা অ্যালার্জির কারনে যে কাররই শরীরে যে কোন সময়ে র‌্যাশ উঠতে পারে। ত্বকে র‍্যাশ উঠলে শরীরে লালচে ফুসকুড়ি দাগ দেখা দেয়। মূলত ত্বক পুড়ে গেলে বা অ্যালার্জির উদ্রেক করে এমন কিছুর সংস্পর্শে আসলে র‍্যাশ উঠতে পারে। লাগাতার র‌্যাশ উঠতে থাকলে শরীরে মারাত্নক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে র‌্যাশ বা ফুসকুড়ি উঠলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ত্বকে র‌্যাশ উঠার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে তবে আজ আমরা ত্বকে র‌্যাশ উঠার মূল কারণ গুলো নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলনু শুরু করা যাক।

ত্বকে র‌্যাশ উঠার কারণ সমূহঃ

১. খাবারে অ্যালার্জি : ত্বকে র‍্যাশ ওঠার সবচেয়ে সাধারণ কারণটি হলো খাদ্যের অ্যালার্জি। খাদ্যের অ্যালার্জি গ্যাসট্রোইনটেস্টিনাল সমস্যাসহ র‍্যাশ উঠতে পারে। এতে ত্বক লালচে হয়ে চুলকাতে পারে। সাধারণ হলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে ৬ সপ্তাহ ওই খাবার না খেয়ে দেখতে পারেন র‍্যাশ ভালো হয় কিনা।

২. ওষুধসংশ্লিষ্ট অ্যালার্জি : অন্যান্য ওষুধ খাওয়ার ফলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে ত্বকে র‍্যাশ উঠতে পারে। এ ধরনের র‍্যাশকে বলে ড্রাগ ইরাপশনস। অন্য কোনো চিকিৎসা নেওয়া অবস্থায় এমন র‍্যাশ উঠলে জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসকের কাছে যান।
৩. অটোইমিউন ডিজিস : বিপাক ক্রিয়ায় ভুল ঘটে গেলে তা দেহে বিপরীত প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। এ ধরনের সমস্যাকে অটোইমিউন ডিজিস বলে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, পরিয়াসিস এমন এক অটোইমিউন পরিস্থিতি যার ফলে ত্বকে র‍্যাশ উঠতে পারে এবং চুলকানি হয়। নাকের দুই দিকে প্রজাপতি আকৃতির এমন লালচে র‍্যাশ ওঠাও অটোইমিউন ডিজিজের লক্ষণ।
৪. সংক্রমণ : বেশ কিছু রোগ আছে যার সংক্রমণ ঘটলে দেহে র‍্যাশ উঠতে পারে। জীবাণুর সংক্রমণে এমন র‍্যাশ ওঠার সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণটি হলো চিকেন পক্স। এ ছাড়া ত্বকে ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক সংক্রমণের ফলেও র‍্যাশ ওঠে।
৫. তাপ : যেকোনো দেশে গরমকালে দেহে র‍্যাশ ওঠা সাধারণ একটি ব্যাপার। এই র‍্যাশ ওঠে ঘাম ত্বকের লোমকূপের ছিদ্র দিয়ে বের হতে না পারলে। এ ছাড়া মোটা দেহে ত্বকের ভাঁজের মধ্যেও র‍্যাশ ওঠে। অতিরিক্ত তাপজনিত কারণে ওঠা এসব র‍্যাশ থেকে বাঁচার উপায় হলো ওই অংশটি শুকনো ও শীতল রাখা।
৬. মানসিক চাপ : এমনকি মানসিক চাপের ফলেও দেহে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে দেহের অভ্যন্তরে রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে এক ধরনের বিষণ্নতা বা মানসিক চাপ দেখা দেয়। এর ফলে র‍্যাশ ওঠে। আর এ কারণে উদ্ভুত র‍্যাশ থেকে বাঁচার উপায় হলো মানসিক চাপ থেকে মুক্তির জন্য মেডিটেশন করা।
৭. ডার্মাটিটসের সংস্পর্শে আসা : আপনার ত্বকের জন্য স্পর্শকাতর যেকোনো কিছুর ছোঁয়ায় অ্যালার্জি আকারে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে। অনেকের ত্বকে গোসলের সাবানেও অ্যালার্জি থাকতে পারে। সে ক্ষেত্রে এদের থেকে দূরে থাকতে হবে।

​ভ্রমণ প্রাণায়াম

​ভ্রমণ প্রাণায়াম

ভ্রমণ প্রাণায়াম একটি অসাধারণ ব্যায়াম। আপনি হাটতে হাটতে এটি চর্চা করতে পারেন। যাদের ডায়াবেটিস আছে, নিয়মিত কয়েক মাইল পথ হাঁটার অভ্যাস অথবা হাঁটতে গিয়ে সঙ্গীদের চেয়ে পিছিয়ে পড়েন, তারা অনায়াসে এটি চর্চা করতে পারেন। এতে আপনার হাটার গতি বাড়বে।

 কখন করবেন :

ভ্রমণ মানেই হচ্ছে বেড়ানো। আপনি যদি ঘরে বসে কিংবা ব্যায়ামাগারে গিয়ে ব্যায়াম করতে না চান তবে এটি আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ ব্যায়াম। এতে আপনার সময়ও বাঁচবে।

ভ্রমণ প্রাণায়ামের জন্য উপযুক্ত সময় ভোরবেলা। তখন পথঘাটে ধূলাবালি কম উড়তে থাকে। এ ছাড়া আপনি সকাল-বিকাল যেকোনো সময় এটি চর্চা করতে পারেন।

শুরু করুন এখনই :

হাটতে হাটতে দম নিন। চার কদমে দম নিন। ছয় কদমে দম ছাড়ুন। দম নেওয়ার সময় মনে মনে বলুন ১,২,৩,৪। এবার দম ছেড়ে দিন। দম ছাড়ার সময় মনে মনে বলুন ১,২,৩,৪,৫,৬। আপনি চার কদমে দম নিয়েছেন এবং ছয় কদমে দম ছাড়ছেন। আপনার হাটার গতি বাড়তে শুরু করলো।

এভাবে বেশ কয়েকবার চর্চা করার পর আস্তে আস্তে দম নেওয়ার সময় বাড়াতে থাকুন। এবার দম নেওয়ার সময় মনে মনে বলুন ১,২,৩,৪,৫,৬। দম ছাড়ার সময় মনে মনে বলতে থাকুন ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮। ছয় কদমে দম নিয়ে আট কদমে দম ছাড়বেন। এভাবে ধাপে ধাপে আপনি ১২ কদমে দম নিয়ে ১৮ কদমে দম ছাড়ার অভ্যাস করতে পারেন। তবে এ অবস্থায় আসতে হলে আপনাকে দীর্ঘদিন অনুশীলন করতে হবে।

সতর্কতা :

ভ্রমণ প্রাণায়াম করবেন আপনার শারীরিক অবস্থা বুঝে। কখনো এটি চর্চা করতে গিয়ে যদি অনুভব করেন বুকের বাম পাশে চিন চিন করে ব্যথা করছে তবে আজকের জন্য বিরতি দিন। বোঝা যাচ্ছে আপনার ফুসফুসের ক্ষমতার মাত্রাতিরিক্ত হয়ে গেছে। তবে নিয়মিত ধাপে ধাপে অনুশীলনে আপনার ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়বে। আপনি প্রাণোচ্ছল থাকবেন।

উপকারিতা :

১. নিয়মিত ভ্রমণ প্রাণায়াম চর্চা করলে বার্ধক্যের প্রচলিত উপসর্গগুলো সহজে আপনার শরীরে দানা বাধতে পারবে না। আপনি শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ থাকবেন।

২. শরীরের নমনীয়তা ও কর্মক্ষমতা বাড়বে।

৩. সঠিক নিয়মে নিয়মিত চর্চা করলে যক্ষা, হাঁপানি ও ইনফ্লুয়েঞ্জা হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যাবে। যাদের এ সমস্যাগুলো আছে তারা পরিমিত মাত্রায় চর্চা করলে আরোগ্য পাবেন।

৪. আপনার ফুসফুস ও হৃদযন্ত্র আগের চেয়ে ভালোভাবে কাজ করবে।

৫. আগে যে পথ হাঁটতে ৩০ মিনিট লাগতো এখন তা মাত্র ১২-১৫ মিনিটে যেতে পারবেন।

৬. নিয়মিত ভ্রমণ প্রাণায়াম চর্চা করলে আপনার হৃদপিণ্ড ও মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বাড়বে। স্মৃতিশক্তিও আগের চেয়ে বাড়বে।

৭. আপনার মনোযোগ বাড়বে। কারণ এটি চর্চা করার সময় আপনি সচেতনভাবে দম নেওয়া ও ছাড়ার সময় আপনার মনোযোগ কেন্দ্রিভূত করছেন।

৮. আপনি দুশ্চিন্তা মুক্ত থাকবেন।

৯. আপনি প্রাকৃতিভাবে সুস্থ ও প্রাণবন্ত থাকবেন।

How to Open an XLSM File Using MS Office 10

​How to Open an XLSM File

The XLS file type is native to Microsoft Excel.

An XLSM file is a spreadsheet that contains macros written in the Visual Basic for Applications, or VBA, language. Macros enable you to automate repetitive tasks and save time when working with business files in Excel. This file is similar to an XLSX file, so you don’t need to spend money on third-party software to open it. Microsoft Office 2010 is capable of both creating and opening XLSM files, and the process is pretty straightforward.

1. Launch Microsoft Office Excel 2010.

2. Click “File” at the top of the Excel window and select “Open” from the menu to open the Open window.

3. Select the folder that contains the XLSM file using the integrated file browser, then then select the XLSM file.

4. Click the “Open” button to open the XLSM file in Excel 2010.

5. Click the “Enable Content” button in the yellow bar at the top of the document to enable the macros.